শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ০২:৪৩ পিএম, ২০২২-০৩-১৪
যতই দিন গড়াচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত বিভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। এরই মধ্যে রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা গড়িয়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। এখনো দু'পক্ষের তীব্র লড়াই চলছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে। দেশটিতে এ পর্যন্ত বহুবার সাইবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ রয়েছে। এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধে নামতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাইবার যোদ্ধা বা স্বেচ্ছাসেবীদের আহ্বান জানাচ্ছে ইউক্রেন।
চেক পয়েন্ট সফটওয়্যার টেকনোলজিসের গবেষণা শাখা বলছে, বহুবার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেনে। তবে ইতিহাসে এবারই প্রথম যে কেউ চাইলে সাইবার যুদ্ধে অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন, চেক পয়েন্ট সফটওয়্যারের থ্রেট ইন্টেলিজেন্সের প্রধান লোটেম ফিঙ্কেলস্টাইন। তিনি বলেন, আমরা পুরো সাইবার সম্প্রদায়কে সাইবার স্পেসে জড়িত দেখছি, যেখানে অনেক গোষ্ঠী এবং ব্যক্তি রাশিয়া বা ইউক্রেন একটি পক্ষ বেছে নিয়েছে।
তবে তিনি দাবি করেন, এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
চেক পয়েন্ট রিসার্চের (সিপিআর) তথ্য বলছে, রাশিয়ার হামলার প্রথম তিন দিনে ১৯৬ শতাংশ হামলা বেড়ে গেছে ইউক্রেনের সামরিক ও সরকারি সেক্টরগুলোকে টার্গেট করে।
সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি সাইবারপ্রুফের প্রেসিডেন্ট এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক ইউভাল ওলম্যান জানান, ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় চার লাখ বহুজাতিক হ্যাকার ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কহীন বাইরের সাইবার হ্যাকারদের এই স্তরের সম্পৃক্ততা আমরা কখনো দেখিনি।
সিপিআর-এর তথ্য বলছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে, ইউক্রেন তার সরকার এবং সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে, অনলাইন আক্রমণের একটি ব্যারেজ তৈরি করেছে রেখেছে।
যদিও মস্কো বরাবরের মতো ইউক্রেনের ওপর সাইবার হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাস থেকে টুইট করে জানানো হয়, সাইবারস্পেসে কোনো ‘দূষিত’ অপারেশন পরিচালনা করেনি এবং পরিচালনা করে না রাশিয়া।’
রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সাইবার হামলার টার্গেটে পরিণত হওয়ায় ইউক্রেন ডিজিটাল সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী মাইখাইলো ফেডোরভ টুইটারে অনুরোধ করেন এবং জানান তিন লাখ ৮০ হাজার লোক টেলিগ্রাম গ্রুপে সম্পৃক্ত হয়েছেন যেটি ‘আইটি আর্মি অব ইউক্রেন’ নামে পরিচিত।
ওই গ্রুপের একজন সদস্য হলেন তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি প্রোভেক্টাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গেনাডি গ্যালান্টার। তিনি বলেন যে গ্রুপটি রাশিয়ান ওয়েবসাইটগুলোর কাজ ব্যাহত করা, বিভ্রান্তি রোধ করা এবং রাশিয়ান নাগরিকদের কাছে সঠিক তথ্য পাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে।
তিনি এটি স্পষ্ট করে বলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় এটি করছেন, তার কোম্পানির জন্য নয়। গ্যালান্টার ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালিয়ে যান এবং তার স্ত্রী একজন রাশিয়ান। তিনি বলেন, মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে সত্যটা জানানোই তার কাজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে হত্যার একটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে ...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক টিনেজ বন্দুকধারীর গুলিতে মঙ্গলবার অন্তত ১৯...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার নিউ জার্সির সেটন হল ইউনিভার্সিাটর স্নাতকদের উদ...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে মঙ্গলবার দুই পাইলট নিহত হয়েছেন। এফ-৭ যুদ্ধবিমানটি তেহরানের দক্ষিণ...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির একটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন ...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গমের রপ্তানি নিষিদ্ধের পর এবার চিনি রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে ভারত। স্থানীয় বাজারে দাম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2022 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited