শিরোনাম
মোঃ খাইরুল ওয়ারা, মহেশখালী উপজেলা প্রতিনিধি : | ০১:৪১ পিএম, ২০২১-১০-০৭
প্রতিকার কামনায় সাংবাদিক সম্মেলন, মহেশখালী উপজেলায় কুতুবজোম ইউনিয়নে সোনাদিয়া দ্বীপে, ১৪ বছরের পলাতক ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ইউপি সদস্য। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যেএকজন নাম করা দাগী আসামি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রশাসনের খাতায় তিনি পলাতক কিন্তুু জনতার কাছে প্রকাশ্যে।সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে ভোট করে তিনি কিভাবে,কাদের সহযোগিতায় জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন বিষয়টি সর্বমহলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। উপরোক্ত বিষয়ে ০৩য় অক্টোবর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে এবং উর্দতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে লড়াই করা সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়ার মৃত্যু সিরাজ মিয়ার পুত্র নুরুল আজিম (প্রকাশ মিয়া)। একই দিন তিনি কক্সবাজার জেলায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় ও পুলিশ সুপার বরাবর দায়ের করা অভিযোগে বলেন,১৪,বছরের পলাতক ওয়ারেন্ট আসামি হলফনামায় তথ্য গোপন করে অস্ত্রের মুখে মুখে জনগনকে জিম্মি করে বিগত ২০শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুতুবজোম ইউনিয়নের ০২নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে বিজয়ী হয়েছেন মৃত্যু এখলাছ মিয়ার পুত্র একরাম মিয়া। এদিনে ওয়ার্ডে তার নেতৃত্বে ত্রাস সৃষ্টি করেন মকসুদ মিয়া, শাহীন, রেয়াজ উদ্দিন, মৃত্যু রহমত আলীর পুত্র আবুল কালাম, মৃত্যু কাছিম আলীর পুত্র সিরিজ মিয়া,মৃত্যু আবদুল গফুর (প্রকাশ নাগুর) পুত্র নকিব, মৃত্যু মোস্তফা আলীর পুত্র সুমন,কবির আহমদ, মোজাফফরের পুত্র উমর ফারুক, মোভারক,আব্দুর রহমানের পুত্র মোনাফ,আবুল কালামের পুত্র আব্দুন্নবী,(প্রকাশ পেঠান),মৃত্যু একে ফজলের পুত্র শামশুল আলম, আবছার,বদি আলমের পুত্র আজিজ (প্রকাশ নাগু)একে ফজলের পুত্র নুর হোসেন, মোঃ নুর, আব্দুল করিম, এখলাছ মিয়ার পুত্র আমির খাঁন,সিরাজ মিয়ার পুত্র খোকা (প্রকাশ কালু),আব্দু রহমানের পুত্র আব্দুল জব্বার, ও ফরুক, আহমদের পুত্র আনছার মাঝি। অভিযোগে নুরুল আজিম (প্রকাশ আজিম মিয়া) বলেন,উল্লেখিত এলাকার তিনি একজন শান্তিপ্রিয় বাসিন্দা হন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সুনাগরিক হন।পক্ষান্তরে অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।তারা দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি মোটেই তোয়াক্কা করে না। চুরি, ডাকাতি, হাইজ্যাক,রাহাজানি, ইয়াবাপাচার, মানবপাচার, অস্ত্রপাচার, স্বর্ণপাচার,নারীপাচার, জলদস্যুতা,পরধনলোভী, জবরদখল, আত্মসাত করা তাদের নৈমিত্তিক পেশা ও নেশা। উপরে উল্লেখ্য একরাম মিয়া ১৪ বছরের পলাতক আসামি। সেই দাগী আসামি হলফনামায় তথ্য গোপন করে বিগত ২০শে সেপ্টেম্বর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ০২ নম্বর ওয়ার্ড সোনাদিয়া থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন।অধীন ও একজন সদস্য প্রার্থী ছিলেন। অধীনের বিজয় নিশ্চিত দেখে লোভ-লালসা রাখতে না পেরে তার সন্ত্রাসী মস্তান বাহিনী নিয়ে ভোট ডাকাতি শুরু করেন।তখন অধীন ও অধীনের সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে তখন তার পুর্ব থেকে পরিকল্পিত সন্ত্রাস বাহিনী বেআইনি অস্ত্র ও দা কিরীচ লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে অধীনের লোকজনের উপর আক্রমণ চালান।এলোপাতাড়ি গুলাগুলি মারপিট শুরু করেন।তখন অধীন নিরপায় হয়ে সমর্থকদের নিয়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।ঐ সময় মহেশখালী থানার দায়িত্ব রত পুলিশের এস,আই আকবর ওঅন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া শব্দ না দেখে তাদের নিরবতা দেখে অধীন বুঝতে পারেন একরাম বাহিনীর সাথে পুলিশের গোপন আতাআত আছে। এবং অধীনের কিছু আত্বীয় স্বজন কক্সবাজার নাজিরার টেকে বসবাস করে, তারা তাদের ভোট প্রয়োক জন্য একত্রিত হয়ে নৌকা যোগে সোনাদিয়া দ্বীপের কাছে এসে পৌছার সাথ সাথে ১৪বছর পলাতক আসামি একরাম বাহিনীর সদস্যর বৃষ্টি মতো করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করে এবং অনেক জনের গায়ে গুলি লেগে আঘাত প্রাপ্ত হয়।ঐ ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ হলনা।কোন রকম প্রান বাঁচিয়ে পুনারায় কক্সবাজার নাজিরার টেকে চলে আসল।আরও উল্লেখ্য যে একরাম বাহিনীর একরাম ২০০৭সাল হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাতক পেরোয়ারি আসামি। তার প্রমাণ মহেশখালী থানার মামলা নং ০৮ জি,আর, ১৯২,তারিখ ০৮/০৭/২০০৭ ইংরেজি। ককসবাজার সদর কোর্ডে ফৌজদারি মিচ মামলা নং ৯৩০/২০১৯,ওয়ারেন্ট স্মারক নং ২৮৬৩/১৯, ইংরেজি এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এই পলাতক আসামি মহেশখালী থানার কতিপয় পুলিশের সোর্স।শুধু শ্বাক দিয়ে মাছ ডাকানোর জন্য,যার কারণে হলফনামায় তথ্য গোপন করে অস্ত্রের মুখে ভোট ডাকাতি করে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। দেশের একশ্রেণির অসাধু পুলিশের উপর থেকে জনগনের কোনো আস্তা নেই।পুলিশের পবিত্র পোশাক গায়ে দিয়ে তারা অপবিত্র কাজে লিপ্ত থাকেন।আইনের পোশাক গায়ে দিয়ে বেআইনি কাজ করেন।তাই দেশের নিরীহ মানুষ বিচার পাবে কোথায়। যাবেও কোথায়,প্রতিবাদ করলে পতিকার চাহিলে পরিয়াদি ষড়যন্ত্রে শিখার হয়ে মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে হয়রানির শিখার হতে হয়।বিষয় টি আমলে নিয়ে স্বরে জমিনে তদন্ত পুর্বক জনমত জরিপ চালিয়ে ১৪ বছরের পলাতক আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হউক। পাশাপাশি পুনরায় ভোট গ্রহন করে জনগনের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হউক। এবং ১৪ বছরের পলাতক আসামি একরামের স্বপদ নামা বাতিলের ব্যবস্তা করা হউক।এই হল সোনাদিয়ার নিরীহ মানুষের প্রাণের দাবি বলে মজলুম জননেতা নুরুল আজিম বলেন।
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজার, প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ দিনে-দুপুরে ‘দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফাটার’ কথা জা...বিস্তারিত
টেকনাফ প্রতিনিধি : : বঙ্গোপসাগরের মিশ্রিত নাফনদের প্রধানমুখ কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুখখালী খাল দখল করে মার্কেট নির্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজার পৌরসভার সাথে সমন্বিতভাবে নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রকল্প বাস্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের তরুণরা কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিসহ সরকারি সেবাসমূহ আরও সহজে পেতে চান। একই সাথে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited