শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১১:১১ এএম, ২০২২-০২-২৭
কয়েকদিন ধরে টানা সংঘাত চলছে ইউক্রেনে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুদেশের এই যুদ্ধ-সংঘাতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। শক্তিধর দেশগুলো যখন যুদ্ধে লিপ্ত হয় তখন তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব বিশ্বের সব দেশের ওপরই পড়ে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার এই যুদ্ধে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সামরিক সরঞ্জাম, খাদ্যপণ্য ইত্যাদি রাশিয়া থেকে আমদানি করে থাকে। তাছাড়া এখন তৈরি পোশাক শিল্পের নতুন বাজার হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে রাশিয়াকে। কিন্তু ইউক্রেনের ওপর হামলার জের ধরে রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ফলে এই সংকটের কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে থেকে রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যার মধ্যে তৈরি পোশাক সবচেয়ে বেশি। আমদানি হয়েছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য, যার বেশিরভাগই খাদ্যপণ্য। এর আগের বছর রাশিয়ায় বাংলাদেশ রপ্তানি করেছিল ৪৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য, অন্যদিকে আমদানি হয়েছে ৭৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য। বিশেষ করে গমের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। ভুট্টার ২০ শতাংশ আসে এই দুটি দেশ থেকে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের প্রভাব এর মধ্যেই তাদের ব্যবসার ওপর পড়তে শুরু করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে প্রতিবছর আট থেকে দশ লাখ টন গম আমদানি হয়। এই সংকটের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যান্য যে মালামাল রাশিয়া থেকে আসে এমন পরিস্থিতিতে জাহাজে করে সেগুলো আনা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বাড়ছে, সেটারও একটা প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর পড়বে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুদ্ধের কারণে পণ্যবাহী জাহাজগুলো এখন কৃষ্ণসাগরে যেতে চাইছে না। ফলে রপ্তানিকারকরাও চিন্তার মধ্যে পড়েছেন।
ইউক্রেনের ওপর হামলার জের ধরে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানসহ একাধিক দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার বেশিরভাগই অর্থনৈতিক। সূর্যমুখী তেল, ভুট্টা, গম ইত্যাদি খাদ্যপণ্যের বাইরে প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এর বড় প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও। বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে তার প্রভাব সব ক্ষেত্রেই পড়বে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় যানবাহন, কৃষি-সবকিছুর ওপরই এর প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর মতো বড় প্রকল্পের কাজ চলছে রাশিয়ার সহায়তায়। তবে রাশিয়ার ওপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রকল্পে কোন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন না বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জামও কেনে বাংলাদেশ। কূটনীতিকরা বলছেন, বৈশ্বিক একটি পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর নানা ভাবে পড়বে।
কোনো দেশে যুদ্ধ শুরু হলে তার প্রভাব সবক্ষেত্রেই পড়বে। নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশের ওপর কি কি প্রভাব পড়তে পারে তা এখনই পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না।
অর্থনীতিবিদ এবং কূটনীতিকরা বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো রাশিয়া সংকটের বড় প্রভাব বাংলাদেশে দৃশ্যমান হবে না। কিন্তু এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার আওতা আরও বাড়লে বাংলাদেশ কী করবে, বাংলাদেশকে সেই আগাম পরিকল্পনা নিয়ে রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আবেদনের ও...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে রেখে দুমাস আগে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহর নাবিক হিসেবে জয়ে...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ আরো তীব্র রূপ নিয়েছে। এদিকে রমজানকে কেন্দ্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : সৌদি বাদশাহ সালমান গাজায় সংঘটিত জঘন্য অপরাধের অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুপ্রতীম রা...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার বোঝাই একটি কার্গো নৌকা সাইপ্রাস থেকে যাত্রার জন্...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited