শিরোনাম
আমাদের ডেস্ক : | ০৭:৪৪ পিএম, ২০২০-০৮-২৫
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর মিয়ানমারে ও মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত ও রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বের কাছে আবারও সহায়তা ও সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এর তিন বছর পর আজও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে ও নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিকে করেছে আরও জটিল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাংলাদেশী জনগণকে সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পরিবর্তিত পরিস্থিতির নতুন চাহিদাগুলো মেটানো এবং এই সংকট সমাধানের লক্ষ্যে আরও বেশি কাজ চালিয়ে যাওয়া।
রোহিঙ্গাদের হিসেবে তাঁদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আজ মিয়ানমারের বাইরে আছেন। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ নিবন্ধন অনুযায়ী কক্সবাজারে অবস্থান করছে প্রায় ৮,৬০,০০০ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ দেখিয়েছে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে তাদের সুরক্ষা, ব্যবস্থা করেছে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সাহায্যের। আজ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিবন্ধিত প্রতি দশ জন রোহিঙ্গার মধ্যে নয় জন বাস করে বাংলাদেশে। এই মহানুভবতার প্রতিদানস্বরুপ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশী জনগণের জন্য নিরন্তর সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ সমাধান আছে মিয়ানমারে। এডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট-এর সকল সুপারিশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব; আর মিয়ানমার সরকারও সেটি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজন সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন করে কার্যকরী আলোচনার সূত্রপাত, এবং এর পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির পদক্ষেপ। এসবের জন্য প্রয়োজন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার উপর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার, আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ গ্রামে ফেরার সুব্যবস্থা, এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে একটি পরিস্কার রোডম্যাপ।
শুধুমাত্র মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করাই নয়, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আরেকটি লক্ষ্য হওয়া উচিত রোহিঙ্গাদের আশানুযায়ী তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। সেজন্য শুধু মিয়ানমারে স্থায়ী সমাধানের জন্য নয়, আরও কাজ করতে হবে আশ্রয় প্রদানকারী দেশের বাইরে তাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য, এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থীদের তৃতীয় কোন দেশে পুনঃবাসনের ব্যবস্থার জন্য।
বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের মানসিক শক্তি ও প্রত্যয় গত তিন বছর ধরে কাজ করছে মানবিক কর্মকান্ডের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে। এই মানবিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে স্থানীয় বাংলাদেশী জনগনের প্রতিও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সহযোগিতার হাত। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহস ও মনোবলকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাবো যেন পৃথিবী তাঁদেরকে ভুলে না যায়।
আমাদের ডেস্ক : : এখনও তীব্র গরম শুরু না হলেও দিনের আবহাওয়া ক্রমাগত বাড়ছে। গরম যত আসতে থাকবে দেখা দেবে নানা শারীরিক ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জনপ্রিয় আলেম, ইসলামি আলোচক ও বক্তা মাওলানা লুৎফর রহমান। সোমবার (৪ মার্চ) ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা লুৎফর রহমান (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কাজের প্রয়োজনে বা বেড়াতে আমাদের কখনো রাতে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। এটা হতে পারে দেশে বা দেশের বাইরে, জ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : আমাদের চোখের যে সাদা অংশ আছে তা লাল হয়ে যাওয়া, লালচে বা গোলাপি হয়ে যাওয়াকে চোখ ওঠা বলে। মূলত রোগটির ...বিস্তারিত
নাসির আহমাদ রাসেল : ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অর্জনের লক্ষ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোট...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited