শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৬:৩৫ পিএম, ২০২১-০১-১৯
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তাদের গোষ্ঠীয় রোহিঙ্গা ডাক্তারদের কাছ থেকে ভুল চিকিৎসা নিচ্ছে। আশ্রয় শিবিরে সরকার ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা পরিচালিত উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা অনভিজ্ঞ আনাড়ি রোহিঙ্গা চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সূত্র জানায়, উখিয়া টেকনাফের প্রতিটি আশ্রয় ক্যাম্পে সার্টিফিকেটধারী শত শত ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা পল্লী ডাক্তারের কাছে যেতে বেশি অভ্যস্ত রোহিঙ্গারা। তারা সরকারী-বেসরকারী চিকিৎসা সেবা না নিয়ে অনভিজ্ঞ ওইসব রোহিঙ্গা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। মিয়ানমারে স্কুলে কয়েক ক্লাস পাস করে বাংলাদেশে এসে ক্যাম্পে ডাক্তার সেজেছে এমন রোহিঙ্গা ভুয়া ডাক্তারের সংখ্যা অনেক। সরকারি ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় নিয়োজিত অভিজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে না গিয়ে রোহিঙ্গা নারী-শিশুরা ওইসব ভুঁইফোড় ডাক্তারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকে বলে জানা গেছে। রাখাইন রাজ্যে বসবাসকালীন রোহিঙ্গারা দেশটির সরকারী হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসা সেবা নেয়া থেকে বিরত থাকত। যদিও বাধ্য হয়ে ভর্তি হলেও রোহিঙ্গা পল্লী চিকিৎসককে সহযোগী হিসেবে পাশে রাখত বলে জানা গেছে। রাখাইন ডাক্তারগণ সহসা মরে যাবার ওষুধ খাইয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা জাতি কমিয়ে আনতে পারে, এক সময় রোহিঙ্গা নেতারা রাখাইন রাজ্যে এমন অপবাদ ছড়িয়েছিল। তখন থেকে রোহিঙ্গা নারী পুরুষ তাদের স্বজাতি ডাক্তারদের ওপর আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা আশ্রয় ক্যাম্পে তাদের পল্লী ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে থাকে। উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত আশ্রয় শিবিরগুলোতে ক্যাম্প প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ক্যাম্পে অবৈধ ওষুধের দোকান ও এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা রাখাইন স্কুলে পড়ালেখা করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে নিজেরা ডাক্তার সেজে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এসব ওষুধের দোকানগুলোতে ডাক্তারি পেশা চালিয়ে যাচ্ছে মগভাষায় শিক্ষিত এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা। উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গড়ে ওঠা ওইসব ফার্মেসির আড়ালে ইয়াবা কারবারও চলছে বলে তথ্য মিলছে। উখিয়া জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাজার কেন্দ্রিক ওষুধের দোকান খুলে রোগী দেখছে ভুঁয়া চিকিৎসক রোহিঙ্গা। অনেকেই ক্যম্পের ভিতরে তাদের কক্ষে অবৈধভাবে ডাক্তারি ও ওষুধ বিক্রি করলেও ক্যাম্প প্রশাসন এ পর্যন্তও অভিযান পরিচালনা করেনি। এ সুযোগে অপচিকিৎসা ও ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা ডাক্তাররা। বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্সের ফটোকপি দিয়ে অবৈধভাবে দোকান করে নগদ টাকা কামাই করছে রোহিঙ্গারা। থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালী, ময়নারঘোনা, কুতুপালং, মধুরছড়া, জামতলি রোহিঙ্গা বাজারের অলিতে গলিতে অবৈধভাবে ওষুধের ফার্মেসি খুলে রোহিঙ্গারা নিজেদের ডাক্তার সেজে চিকিৎসার নামে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা বাণিজ্য। স্থানীয় জামতলির ডাক্তার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মোঃ ইউছুফ বলেন, রোহিঙ্গা আসার কারণে আমরা ক্ষেত-খামার, জমিজমাসহ সবকিছু হারিয়েছি। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দ্বিগুণ। এখন স্থানীয়দের ব্যবসা কমে গেছে। রোহিঙ্গাদের দোকানে ব্যবসা জমজমাট। রোহিঙ্গারা রোহিঙ্গার দোকান ব্যতীত অন্য কোন দোকান থেকে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে না। স্থানীয় দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ডাক্তাররা কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নামে বেনামে ট্রেড লাইসেন্স ও নাগরিক সনদ নিয়ে এবং অন্যজনের নামে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের ডিপ্লোমা সনদ এলএমএএফ, ডিএমএডি, এমএফ, আরএমপি সনদ এবং ভুঁয়া সনদ বানিয়ে এই মহামানবসেবামূলক পেশাকে কলঙ্কিত করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক যেসব অশিক্ষিত ভুয়া রোহিঙ্গা ডাক্তার ও আনাড়ি চিকিৎসক যত্রতত্র দোকান খুলে চিকিৎসার নামে ভুল চিকিৎসা করে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। অজ্ঞ ডাক্তাররা চিকিৎসার নামে রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত নিম্নমানের ইত্যাদি ওষুধ। ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কথিত ভূঁইফোড় ডাক্তারসহ অন্তত ১০ হাজারের অধিক ওষুধের দোকান রয়েছে রোহিঙ্গাদের। বিভিন্ন কোম্পানি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওষুধ সরবরাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য প্রতিনিধি নিয়োজিত রেখেছে। তারা বাকিতে ওষুধ দিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের দোকানে। সপ্তাহ পর পর এসে টাকা আদায় করছে। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, কুতুপালং বাজারসহ ক্যাম্পের ভিতরে বাইরে ওষুধের দোকান খুলে যারা নিজেদের ডাক্তার দাবি করে ভুঁয়া কাগজপত্র নিয়ে ওষুধ বিক্রি করছে, তাদের ফার্মেসি এবং কথিত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক বার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্থ ও জেল উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করেছি। আর ফার্মেসি খুলে অনেকেই একটা ইনজেকশনের সিরিজ ২-৩ বার ব্যবহার করছে এমন অভিযোগও আমার কাছে আছে।
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজার, প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ দিনে-দুপুরে ‘দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফাটার’ কথা জা...বিস্তারিত
টেকনাফ প্রতিনিধি : : বঙ্গোপসাগরের মিশ্রিত নাফনদের প্রধানমুখ কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুখখালী খাল দখল করে মার্কেট নির্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজার পৌরসভার সাথে সমন্বিতভাবে নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রকল্প বাস্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের তরুণরা কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিসহ সরকারি সেবাসমূহ আরও সহজে পেতে চান। একই সাথে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited