শিরোনাম
টেকনাফ প্রতিনিধি : | ০৭:২৪ পিএম, ২০২৪-০৩-০৯
বঙ্গোপসাগরের মিশ্রিত নাফনদের প্রধানমুখ কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুখখালী খাল দখল করে মার্কেট নির্মানের অভিযোগ উঠেছে এক কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। বর্ডার গার্ড বিজিবির টেকনাফ বিওপির লাগোয়া ৭ নং ওয়ার্ডে ওই খালে মার্কেট নির্মান করেন অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌলভী মুজিবুর রহমান। তিনি সাবেক আলোচিত-সমালোচিত সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ভাই এবং পৌরসভার প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা শহরে ভূমিদস্যুরা হাঁকডাক দিয়ে দিন দিন উপজেলার সরকারি খাল দখলে নিচ্ছে।খাল দখলে তার প্রতিযোগীতায় নেমেছে ভুমিদস্যুরা।টেকনাফ উপজেলার এক সময়ের খরস্রোতা খালটি ভূমিদস্যুদের কারণে আজ কোথাও নিশ্চিহ্ন আবার কোথাও সরু নালায় পরিণত হয়েছে। সেই খাল নানা কৌশলে দখলে নিলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করতে পারছেন না। তবে নিরব হয়ে চুপ থাকলেও সচেতন মহলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে।খালটি দখলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা জড়িয়ে থাকায় উপজেলা প্রশাসনও রহস্যজনক কারনে নীরবতা পালন করছেন। এতে আরও উৎসাহী হচ্ছে ভূমিদস্যুরা। এই সুযোগে ভূমিদস্যুরা দিনের পর দিন খাল দখল করে একের পর এক অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে খালের মাঝ পর্যন্ত পাকা ঘর নির্মাণ করেছে ভূমিদস্যুরা। সবকিছু দেখেও উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ভাবে দখলের উচ্ছেদ অভিযানের কথা বলে আসলেও জনতার কাতারে এঁরাও।যা সাধারণ জনগণের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন।
সরেজমিনে দেখা গেছে,টেকনাফ সদরের ২ বিজিবির, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার বিউপির থেকে প্রায় ১০০ গজ পরে,সরকারি খতিয়ান ভুক্ত খালের জায়গাতে ১০ কক্ষ বিশিষ্ট ৩ শতক জায়গার উপর মার্কেট নির্মান করতে দেখা যায়।উক্ত স্থানের খালের পশ্চিম পাশে গিয়ে দেখা যায়,বাঁশের বেড়া দিয়ে, কংক্রিট ও মাটি ভরাট করে বাঁধ তৈরীর মাধ্যমে মার্কেট টি নির্মান হচ্ছে।নির্মিত মার্কেটের পূর্বপাশে ও খালের দক্ষিণ পাশে,প্যারাবন নিশ্চিহ্ন করে ১৫ শতক পরিত্যক্ত খালের জায়গার উপর পৌরসভার সব ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করতেও দেখা যায়।অন্যান্য দিকে খালের মাটি খনন করে,খালের প্রবেশ মুখের কিছু অংশ ঘিরে রেখেছে।সেখানে ময়লার স্তূপ এমন করে রেখেছে খালের অবশিষ্ট যায়গা যেন চর হয়ে যায়।পরবর্তীতে যেন দখল করতে সুযোগ হয়।তার আশেপাশের বাড়ি ঘর গুলো যেন আবর্জনার দুর্গন্ধ,এই পরিবেশে জন্ম নেওয়া মশা স্থানীয়দের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
ময়লা স্তুপ থেকে বোতল কুড়াতে আসা স্থানীয় রশিদ আহমদ বলেন,একসময় এ জাগায় আমি ঝাঁকিজাল মারতে আসতাম।প্রায় ২/৩ বছর ধরে বাজারে ময়লা বর্জ্য ফেলে দখল করতেছে সাবেক এমপি এমপির আব্দুর রহমান বদির স্বজনরা।তিনি আরো বলেন,মার্কেট নির্মানটাও খালের অংশ ছিলো,এভাবে ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীর পাড়া ৭নং ওয়ার্ড ও বিজিবি ক্যাম্পের বিউপির উত্তর পূর্ব দিকে।সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানের খালের জায়গা ও খালের মুখ পৌরসভার বর্জ্য ফেলে ভরাট করে মার্কেট নির্মানের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় কাউন্সিল মৌলভী মুজিব রহমান বিরুদ্ধে।স্থানীয়রা আরো জানান,খাল দখল করার আগে প্যারাবন নিধন করে।পরবর্তীতে খালের মাটি দিয়ে বাঁধবেঁধে জায়গায় স্কোয়ার করে রাখে।তা ভরাট করার জন্য বাজারের ময়লা বর্জ্য ফেলে সমতল করে মার্কেট নির্মান করে।অভিযোগ রয়েছে ৭/৮ নং ওয়ার্ড গুলোর খাস খতিয়ানের জমি বেশির ভাগ সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ও তার স্বজনরা দখল করে ডিয়ার জরিপে তাদের নামে করে নেয়।এভাবে দখল নিলে সরকারি খাস জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাবে।পরবর্তীতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়ে বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চৌধুরী পাড়া বাসিন্দারা।
অভিযোগের বিষয় নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিল ও প্যানেল মেয়র মজিবুর রহমান কাছ থেকে জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করে বলেন।কায়ুকখালী খালের মধ্যে কোন মার্কেট বা স্থাপনা কেউ নির্মান করতেছেনা,
আপনার ভুল হচ্ছে। প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদক তাঁর ব্যবহৃত whatsapp নম্বরে দখল করা মার্কেটের নির্মানাধীন ভিডিও ফুটেজ পাঠানো হলে পরবর্তীতে স্বীকার করেন।এটা মার্কেট না,আমি ফিশারি করতেছি।কারণ এটা আমাদের জমিনের মাথা গিলা খাস খতিয়ানের জায়গা।সরকার যদি বাঁধা দেয় তখন ভিন্ন কথা।অনুমতি এখনো নিনাই,অনুমতির জন্য ফাইল ভুমি অফিসে জমা দিয়েছি।তা ছাড়া কায়ুকখালী খাল পুরাটাই খাস।যারা আরো মার্কেট নির্মান করতেছে তারাও খাস জায়গাতে করতেছে।
সদরের পল্লান পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মুনাফ বলেন,খাল দখল হওয়ায়,পর্যাপ্ত পানি না আসায় লবণের চাষ বন্ধ রেখেছি ৩ বছর ধরে।যখন চাষ করেছিলাম ভালো লবণ উত্তোলন করে লাভবান হয়েছিলাম।খাল দখল, পানি ও পরিবেশ দূষণ, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষণ, অবৈধ কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার, নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নৌ-পরিবহনযোগ্য হিসাবে গড়িয়া তোলাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে প্রণীত এ আইনে।জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ২০১৩ সালে ২৯ নং আইনে সে সব বিষয় উল্লেখ করেছিল।কিন্তু কে বা কার আইন মানে!নদী দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান এখনো চোখে পড়েনি সেই প্রেক্ষিতে,উক্ত এলাকায় জায়গা জমিনের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় যার যার মত করে দখল করছে ভূমি খেকোরা।
এবিষয়ে টেকনাফের পৌর'মেয়ের ইসলাম বলেন।সরকারের খাস খতিয়ানের খালের জায়গাতে কাউন্সিলর মৌলবাদী মজিবুর রহমান একটা স্থাপনা মির্মান করতেছে এমন খবর শুনেছি।তিনি বলেন আইন হাতে নেওয়ার কার এখতিয়ার নেই সেই যত বড় নেতা হোক না কেন।আর পৌরসভার বর্য্য ফেলার নির্ধারিত স্থান না থাকায় সে জায়গার উপর ফেলা হচ্ছে বর্য্য গুলো।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন-সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জমিতে কোন ব্যক্তির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান করা অসম্ভব।সরকারি খালের উপর নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করা হবে।তিনি আরো বলেন,এলজিইডি থেকে প্রকল্পের অনুমোদন টা হাতে পেলে খাল খননের কাজ শুরু করে দিব।
আমাদের ডেস্ক : : কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ কক্সবাজারের সু পরিচিত মানবিক ব্যক্তি হাজী মন্জুর আলমের নিজের একটি ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজার, প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ দিনে-দুপুরে ‘দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফাটার’ কথা জা...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজার পৌরসভার সাথে সমন্বিতভাবে নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রকল্প বাস্...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited