শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯:৫৪ এএম, ২০২৩-১২-০১
লুৎফুর রহমান কাজল:
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অনুমোদিত ধারণক্ষমতা ২৫০ শয্যার। কক্সবাজার সদর এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হওয়া সত্বেও এই হাসপাতালে প্রতিদিন ( প্রায় ১ হাজারের) ও অধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। যা হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে ও প্রায় ৩গুন বেশি। ফলে হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের প্রতিনিয়ত সামলাতে হচ্ছে বাড়তি রোগীদের চাপ।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স ও স্টাফদের বাড়তি রোগীর চাপ এবং চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তারা রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সাধারন রোগী এবং রোগীর স্বজনরা ও খুশি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নতুন তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মং টিং ঞো বলেন, এই হাসপাতালটিতে অনুমোদিত রোগীর ধারণক্ষমতা ২৫০ শয্যার। ২৫০ শয্যা হওয়া সত্বেও হাসপাতালে নিয়মিত ভর্তি রোগী থাকেন প্রায় ১ হাজারের ও অধিক , যা এই হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক ও প্রায় ৩গুণ। অন্যদিকে, আউটডোরে ও প্রতিদিন প্রায় ১,৮০০ (আঠারো শত) জনের ও বেশি রোগী দেখতে আউটডোর বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসারগণ প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। আউটডোর বিভাগে রয়েছে মেডিসিন, সার্জারী, অর্থোপেডিক্স ,চর্ম ও যৌন, স্ত্রী ও প্রসূতি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, দন্ত, কার্ডিওলজি, ফিজিক্যাল, মানসিক, নিউরো মেডিসিন, ফার্মেসী ও ক্যাফেটেরিয়া । এতে করে নানা সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে এবং সেবার মান ও পরিবর্তন হচ্ছে। বাড়তি রোগীদের চাপ থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদুল হক থেকে জিজ্ঞাসা করা হলে রোগীদের এমন বাড়তি চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতালের সব কিছু নতুনত্বের ফলে বাড়তি রোগী সামলাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয় ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের । বাড়তি রোগীর চাপ থাকলে ও হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন । তিনি আরও বলেন হাসপাতালের নতুন তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মং টিং ঞো-এর তদারকিতে রোগীরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন ও তারা খুশি হচ্ছেন ।
চক্ষু বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ অং স্যাইন থোয়াই (জিমি) বলেন , আমাদের প্রতিনিয়ত বাড়তি রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে । তারপর ও আমরা হাসপাতালে আসা প্রত্যেক রোগীদের তাদের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাদমান রহমান (সৌমিক) বলেন, আধুনিক ও উন্নত মানের বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে প্রতিদিন ৩৫০ বা এর অধিক রোগী সেবা গ্রহণ করে থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন ।
বহিঃ বিভাগের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ইরফান বলেন, হাসপাতাল আধুনিকায়নের ফলে প্রতিদিনই রোগীদের সংখ্যা ক্রমানুসারে বাড়তেছে। রোগীদের সংখ্যা এতটাই বেশি হয়ে যায় যে রোগীদের অবকাঠামোগত সংকটে পড়তে হয়। অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে রোগীদের দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য ও হিমশিম খেতে হয়। হিমশিম খাওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে আসা প্রত্যেকটা রোগীকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
পাওয়া সূত্র মতে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালে আসার পর থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার সকল প্রকার ধরন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসমূহ নতুনভাবে সাজানো হয় ও সেবার মান আগের তুলনায় অনেক গুণ এগিয়ে গেছে। সেবার মান আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ার ফলে হাসপাতালে আসা রোগীদের ও অনেকাংশে দুর্ভোগ কমে গেছে।
আমান উল্লাহ নামে হাসপাতালে আসা এক রোগী বলেন , আমি চর্মরোগ, এলার্জির চিকিৎসার জন্য আসছিলাম। আমার সাথে ডাক্তারদের কথা গুলো শুনে অনেক ভালো লাগলো এবং হাসপাতালের সেবার মান আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফাতেমা আক্তার নামে হাসপাতালে আসা এক রোগী বলেন , এখানে প্রচুর রোগী হওয়ার কারণে বেড সংকট দেখা দেয়। কিন্তু, নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতা থাকার পরও আমরা সাধারণ রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি এবং খুশি।
উখিয়া থেকে আসা রোগী ছখিনা খাতুন ও স্বজন মোঃ মাবুদ বলেন, হাসপাতালে বেড না পেয়ে আমরা হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। সদর হাসপাতালে সবসময় সিট পাওয়া যায়না। আমরা বারান্দায় থেকে চিকিৎসা সেবা নিলে ও হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং আমাদের প্রতি মানবিকতা দেখাচ্ছেন।
গর্জনিয়া থেকে আসা এক রোগীর স্বজন আব্দুর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ সদর হাসপাতালে আমার রোগীর ভালো সেবা পাচ্ছি। ডাক্তারেরা ঘুরে ঘুরে প্রত্যেক রোগীদের দেখে যাচ্ছেন ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আমাদের ডেস্ক : : কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ কক্সবাজারের সু পরিচিত মানবিক ব্যক্তি হাজী মন্জুর আলমের নিজের একটি ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজার, প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ দিনে-দুপুরে ‘দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফাটার’ কথা জা...বিস্তারিত
টেকনাফ প্রতিনিধি : : বঙ্গোপসাগরের মিশ্রিত নাফনদের প্রধানমুখ কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুখখালী খাল দখল করে মার্কেট নির্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited