শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১১:৩১ এএম, ২০২২-০৫-২৪
চীনবিরোধী জোট হিসেবে পরিচিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ঘিরে গঠিত কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগের (কিউএসডি বা কোয়াড) শীর্ষ নেতারা মঙ্গলবার (২৪ মে) জাপানের টোকিওতে বৈঠকে বসেছেন। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার (২৩ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি’ (আইপিইএফ)-এর। এতে ক্ষুব্ধ বেইজিং।
আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার ঘোষণা হলেও এই ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হতে সময় লাগতে পারে আরও দেড় থেকে দুই বছর। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপানসহ ১৩টি দেশ যুক্ত এই অর্থনৈতিক কাঠামোতে। এই অর্থনৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘আইপিইএফ’-এর জন্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সব দেশের সঙ্গে কাজ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম বিষয়টি উত্থাপন করেন। পরে এই প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসে আলোচিত হয়। বলা হয়, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রথাগতভাবে বাণিজ্য চুক্তি হবে না। এই চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নীতি, সরবরাহ শৃঙ্খল, অবকাঠামো ও কার্বন নিঃসরণের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া কর ও দুর্নীতি দমন বিষয়গুলোতেও সংযোগ তৈরি করা হবে সদস্য দেশগুলোর।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের শীর্ষ নেতারা ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তারকারী চীনকে মোকাবিলা করার এবং রাশিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে টোকিওতে আলোচনা শুরু করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও এবারের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যু কোয়াড এজেন্ডায় ছিল না, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাইওয়ানকে সামরিক সমর্থন দেওয়ার ঘোষণার পর এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে এই অর্থনৈতিক কাঠামো বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নয়। এর আগে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি ছিল। আইপিইএফ-এ বাইডেন যে দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়েছেন সেগুলো হলো ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রস্তাবে ২০০৭ সালে কোয়াড গঠিত হয়। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ জোটের অংশীদার ছিলেন সেসময়। শুরুর দিকে এটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় ২০১৭ সালের পর থেকে এটি আবার সক্রিয় করতে তৎপর হন নেতারা। এখন জো বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আরও তৎপরতা শুরু করেছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পাকিস্তানে ৩৯ জন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন প্রথমবারের মতো তার মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন। শুক্রবার (১৮ নভেম...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ৭৪টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে দেশটিকে ৯০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চী...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুদানের দক্ষিণ-পূর্ব ব্লু নাইল রাজ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের শহর কাভালার কাছে একটি কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইউক্রেনের ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2023 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited