শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১:২৫ এএম, ২০২১-০৬-০৬
আবুল কালাম আজাদঃ
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল কুলিয়াপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে মোহাম্মদ এফাজ ঊল্লাহর পুত্র সাদেক হোসেন(৩০) এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছাম্মৎ পারভীন আক্তার (২৭) আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জানান খুরুশকুল কুলিয়াপাড়ার মোহাম্মদ এফাজ ঊল্লাহর পুত্র সন্ত্রাসী নাছির উদ্দীন (৩৭), এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ রশিদ (৪৭), তাদের বোন আসমা খাতুন,(২০),আয়েশা বেগম(৩৭) এবং বহিরাগত ১০/১২ জন ।
আহত সাদেক হোসেন প্রতিবেদককে বলেন ৩টি অলিখিত ব্যাংকের চেক তার সহোদর নাছির উদ্দীনের কাছে সংরক্ষিত ছিল।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে তাদের পিতার মৃত্যু হলে ও তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি।
সম্পত্তি কুক্ষিগত করার হীন মন-মানসিকতা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে নাছির উদ্দীন অলিখিত তিনটি চেকে যথাক্রমে দশ লক্ষ,আড়াই লক্ষ এবং দুই লক্ষ সর্বমোট সাড়ে চৌদ্দ লক্ষ টাকা পূরণ করে সাদেক হোসেনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনার জের ধরে বিগত প্রায় বছর দেড়েক পূর্বে নাছির গং সাদেক হোসেনকে হাতুড়িপেঠা করে গুরুতর আহত করেছিল বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী সাদেক
হোসেন।
সাদেক হোসেন ভাড়ায় টমটম চালিয়ে দুই মেয়ে এবং স্ত্রী সহ চার সদস্য বিশিষ্ট সংসারের জীবিকা নির্বাহ করছে।
স্হানীয় সর্দার বশির আহমদ জানান,
গত ৪ জুন সন্ধ্যা ৬ টায় সাদেক হোসেন টমটম চালিয়ে ঘরে ফিরলে ওৎ পেতে থাকা
নাছিরসহ বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা
দা,কিরিচ, ছুরি লাঠি ও দেশীয় তৈরী অস্ত্রসস্ত্রসহ হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সাদেক হোসেন কে।
সাদেক হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও লাথি,ঘুসি এবং লাঠির আঘাতে ধরাশায়ী করে মারাত্মক জখম করেন।
প্রাণে বাঁচার উদ্দেশ্যে আহত অবস্থায় সাদেক হোসেন দৌড়ে তার প্রতিবেশী লেদুর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচের আঘাতে ঘরের দরজা কেটে তছনছ করেছে সন্ত্রাসী নাছির বাহিনী।
পরে স্হানীয়রা আহত অবস্থায় সাদেক হোসেন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত সাদেক হোসেনের স্ত্রী বলেন
সন্ত্রাসী নাছিরের নেতৃত্বে একদল বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে বাড়ি থাকা তার ব্যবহৃত একটি এল ই ডি টিভি,একটি পানির মটর, আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার,টমটম কিনার উদ্দেশ্যে ঘরে রক্ষিত ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া এক লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান ভূক্তভোগীর পরিবার।
স্হানীয় সর্দার বশির আহমদের ছেলে মনছুর আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,সাদেক হোসেনকে হাঁতুড়িপেঠা করার পর চিকিৎসা শেষে সুস্হ হলে উনি সহ স্হানীয় আবূ বক্কর চেয়ারম্যানের ছেলে শাহ আলম এবং গন্যমান্য লোকজন নিয়ে শালিস বিচার হয়।কিন্তু নাছির গং সেই রায় অমান্য করে সাদেক হোসেনের উপর আক্রমন অব্যাহত রাখে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন জানান,নাছির সপরিবারে কক্সবাজারের পাহাড় তলিতে থাকে এবং সেখান থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে খুরুশকুলে এসে সাদেক হোসেনের উপর প্রায় আক্রমন চালায়।
খুরুশকূলে অবস্হানরত তার অপর দুই বোন আসমা খাতুন এবং আয়েশা বেগম তারা ও অত্যন্ত সাংঘাতিক মহিলা বলে দাবী করেন স্হানীয়রা। প্রান সংহারের আশংকায় ভূক্তভোগী সাদেক হোসেন অসহায় অবস্হায় বর্তমানে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন।
প্রতিপক্ষ ক্ষমতাশালী হওয়ার কারনে স্হানীয় বিচার-শালিসের তোয়াক্কা করেনা তাই সাদেক হোছেন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে জানান।
উক্ত ঘটনায় সাদেক হোসেন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একখানা এজাহার দায়ের করেন। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক শেখ মনীর উল গিয়াস বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে যথোপযুক্ত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ কক্সবাজারের সু পরিচিত মানবিক ব্যক্তি হাজী মন্জুর আলমের নিজের একটি ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজার, প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ দিনে-দুপুরে ‘দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফাটার’ কথা জা...বিস্তারিত
টেকনাফ প্রতিনিধি : : বঙ্গোপসাগরের মিশ্রিত নাফনদের প্রধানমুখ কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুখখালী খাল দখল করে মার্কেট নির্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজার পৌরসভার সাথে সমন্বিতভাবে নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন প্রকল্প বাস্...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited