শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২:৩৭ পিএম, ২০২২-০৫-০৮
করোনা মহামারিতে দুই বছর বন্ধ থাকার পর উৎসাহ-উদ্দীপনা আর বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কক্সবাজার ডিসি সাহেবের দুদিনব্যাপী বলী খেলার ৬৫তম আসর। শনিবার (৭ মে) বিকেলে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বলী খেলার সমাপনীতে হাজারখানেক ক্রীড়াপ্রেমীর উপস্থিতিতে চরম অব্যবস্থাপনায় খেলা সমাপ্ত হয়। গ্যালারির দর্শকেরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করে।
আয়োজক ও ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখার আশা থাকলেও তা এবার পূরণ হয়নি। পুরুষ ফাইনালে কেউ কাউকে পরাজিত করতে না পেরে জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিবিদ লিটন বিশ্বাস ও উখিয়ার নুর মুহাম্মদ বলীর মধ্যে অপেশাদারি আচরণে কলহে খেলা সমাপ্ত করা হয়েছে। পরে উভয়কে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে আয়োজক কমিটি। খেলার ফলাফল ও দুই প্রধান বলী একজন অন্যজনকে আঘাত করতে চাওয়ার ঘটনায় চরম অসন্তোষ দেখা দেয় দর্শকদের মাঝে।
তবে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী এ খেলায় বিনোদন জুগিয়েছে নারী বলী জুটি সেনা সদস্য পিভি রায় ও আনসারের ফাতেমা। একাধিকবার লড়ে পিভির কাছে পরাস্ত হন ফাতেমা। দুজনই জাতীয় কুস্তি টিমের খেলোয়াড় এবং দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক নানা টুর্নামেন্টে লড়েছেন।
এবারের বলীখেলাকে ‘তামাশা’ উল্লেখ করে মাঠে এসেও বলী ধরেননি দেশসেরা রামুর দিদার বলীকে একসময় পরাস্ত করা উখিয়ার শামসু বলী। তার অভিযোগ, সীমাহীন অব্যবস্থাপনা আর আয়োজক কমিটির ইচ্ছেমতো চলানো হয়েছে এবারের খেলা। স্থানীয় বলীদের সঙ্গে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগও করেন তিনি। এ কারণে মাঠে এসেও এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। এমনকি আগামীতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কোনো বলীকে আর কক্সবাজার ডিসির বলী খেলায় অংশ না নিতেও অনুরোধ জানান শামসু বলী।
বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ। অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। এসময় বক্তারা বলেন, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে উৎসাহী করতে গ্রামে বলী খেলার প্রচলন হয়। যা ব্রিটিশ পরবর্তীকালে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যে রূপ নেয়। ধীরে ধীরে এ বলী খেলা আজ ঐতিহ্য রক্ষার হাতিয়ার হয়ে ওঠেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণীতে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ আবদুল খালেক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও সহ-সভাপতি অনুপ বড়ুয়া অপু প্রমুখ।
বলী খেলা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব আলী রেজা তসলিম জানান, ডিসির বলী খেলায় এ-ক্যাটাগরির যুগ্ম চ্যাম্পিয়নকে ১৫ হাজার, বি-ক্যাটাগরীতে চ্যাম্পিয়ন ১০ ও রানার্স আপ ৭ হাজার, সি-ক্যটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ৭ ও রানার্স আপকে ৫ হাজার টাকা সম্মানী ও মেডেল দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৬ সালে এসডিও সাহেবের বলী খেলা হিসেবে এ প্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু। ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার জেলার হিসেবে উন্নীত হলে এটি ডিসি সাহেবের বলী খেলা নামে পরিচিতি পায়।
আমাদের ডেস্ক : : ভোরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা। কিন্তু সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি ...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বেশ কিছুদিন ফাঁকা সময়ই কেটেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ফের শুরু হতে যাচ...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান সফরকে কেন্দ্র করে ঘোষিত বাংলাদেশ ‘এ’ দলে তারকা ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি। দলে আছেন মুশফি...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৩০ সালে। ২০৩০ সালে বিশ্বকাপের ১শ বছর পূর্ণ হবে। বি...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ এ’ দলের সঙ্গেই পাকিস্তান সফরে যেতে পারেন জাতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : ৪ ͯ ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে কাল যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস গেমসে প্রথম স্বর্ণপদক উপহার দিয়েছে যু...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited