শিরোনাম
ঢাকা অফিস :: | ০৩:৫০ পিএম, ২০২২-০৩-২৯
দেশের সড়ক নিরাপত্তায় ৩৫ দশমিক ৮ কোটি ডলার (তিন হাজার ৭৮ কোটি টাকা) অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। রোড সেফটি প্রজেক্টের আওতায় সোমবার (২৮ মার্চ) ওয়াশিংটনে অবস্থিত সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ও নাটোর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার সড়কে প্রাথমিকভাবে বসানো হচ্ছে নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ ডিভাইস। এতে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে কোনো চালক পার পাবেন না। প্রকল্পটির মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা পরিমাপ, উন্নত নকশা, প্রকৌশল সুবিধা, গতি প্রয়োগ, জরুরি সেবাসহ ব্যাপক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই মহাসড়কে ৩০ শতাংশের বেশি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা স্থায়ী অক্ষমতার প্রধান কারণ ও শিশুদের মৃত্যু চতুর্থ প্রধান কারণ। বাংলাদেশের জন্য সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার। সড়ক নিরাপাত্তায় অর্থায়ন করতে পেরে বিশ্বব্যাংক আনন্দিত। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এটি বাংলাদেশকে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে ও মানুষের জীবনের মর্মান্তিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য একটি ব্যাপক কর্মসূচি তৈরি করতে সাহায্য করবে।
প্রকল্পের আওতায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে পাঁচ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক নিরাপদ করা হবে। তথ্যের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার বিবেচনায় বিভিন্ন ইন্টার সেকশনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাত্রার পূর্ত কাজের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। ট্রাফিক পুলিশসহ অন্য সংস্থার ব্যবহারের জন্য স্থাপন করা হবে জাতীয় ডাটা সিস্টেম। জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা ও নাটোর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ১৪০ কিলোমিটার মহাসড়কে বসানো হবে সিসিটিভি। স্থাপন করা হবে ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনসিডেন্ট ডিটেকশন সিস্টেম। কেউ যদি বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায় ও কোনো দুর্ঘটনা ঘটায় তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরা পড়বে।
দেশে মোট সড়ক ২১ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার। জাতীয় মহাসড়ক ৩ হাজার ৯০৬ ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ হাজার ৪৮২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার। ১৩ হাজার ২০৬ দশমিক ৯২৩ কিলোমিটার জেলা সড়ক। এর মধ্যে এক হাজার ৬৭২ কিলোমিটার সড়ক ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এসব সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বসানো হবে প্রযুক্তি। এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পার পাবেন না চালকরা।
বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ থেকে ৩ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে তাই ‘বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প’ হাতে নিচ্ছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), হাইওয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)। সমন্বিত নিরাপদ সড়ক প্রণয়নে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় মোট ৩ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ও বাকি অর্থ সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে। চলতি সময় থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা আওয়ামী লীগের জনসভা এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনী আয়োজিত আন্তর্জাতিক ‘ফ্লিট রিভিউ’ উদ্বোধন করতে ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস :: : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কর্তৃ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস :: : পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক লাইফ লাইন রূপে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জাতী...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস :: : প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম র...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস :: : কৃষিখাতের আধুনিকায়ন ও উৎপাদন বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ কর...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস :: : শুক্রবার (১০ জুন) পর্যন্ত চার হাজার ২২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2023 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited