শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১:০৬ এএম, ২০২১-০৫-২৩
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাইনের পর থেকে কক্সবাজারের বিভিন্নস্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলছে।
সদরের লিংকরোডে কর্মস্থল থেকে বাসার ফেরার পথে মনি কামাল (২২) নামের এক হাসপাতাল কর্মচারী ছিনতাইকারীদের ছুরিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় উত্তেজিত জনতা ওই তিন ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন।
পরে তাদেরকে উপর্যুপরি পিটিয়ে পুলিশ সোপর্দ করেছে। শনিবার (২২ মে) বিকেলে রাবারড্রাম-আল বয়ান ইনস্টিটিউট সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক সদরের খরুলিয়া সুতারচর এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের লিফট ম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক তিন ছিনতাইকারী হলেন- রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির ১নং ওয়ার্ডের শামসুল আলমের পুত্র আব্দুল মোতালেব (২০)। একই এলাকার মোজাম্মেল হকের পুত্র মোঃ রায়হান উদ্দিন প্রকাশ রনি (১৯)। ঝিলংজার ০৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন মুহুরীপাড়ান মোং হাসানের পুত্র জুনায়েদ হাসান (২০)।
আহত যুবকের ভাই দয়ান জানান- কামাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কর্মস্থল থেকে টমটমযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ওই তিন ছিনতাইকারী তাকে টমটমসহ রাবারড্রাম সড়কে নিয়ে গিয়ে ঘিরে ফেলে। ছিনতাইকারীরা ধারালো ছুরি বের করে তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তিনি বাধা দিতে গেলে ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
এতে তিনি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ধাওয়া করে তিন ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা ওই তিন ছিনতাইকারীকে পেটাতে শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তিন ছিনতাইকারীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মনি কামাল নয়, সম্প্রতি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ছেন কক্সবাজার জেলার বহু মানুষ। অন্যদিকে গত ঈদের আগে শপিংমলমুখী অনেকে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ঈদের পর থেকে বেড়েছে কিশোর বয়সী ছিনতাইকারীদের অপতৎপরতা। তারা সুযোগ পেলেই শপিংমল কিংবা বাজারে আসা নারীদের ভ্যানিটি ব্যাগ টেনে দৌঁড়ে পালাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে কক্সবাজারে মানুষের যাতায়াত কম। ফলে সন্ধ্যার পর কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকায় রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির উঠতি বয়সের তরুণরা রাস্তায় ওঁত পেতে থাকে। সুযোগ বুঝে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে তারা।
জানা যায়, উঠিত বয়সী এই ছিনতাইকারীদের বেশিরভাগই মাদকসেবী। মাদকের টাকার জন্যই তারা ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়াচ্ছে। বিধিনিষেধের কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা হওয়ায় তাদের এ অপতৎপরতা বেড়ে গেছে। মূলত যে অপরাধী চক্রগুলো মানুষের বাসা থেকে চুরি-ডাকাতি করত তারাই এখন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নেমেছে।
কেননা বিধিনিষেধের কারণে গত এক মাসে শহর কিংবা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বাসায় থেকেছে। ফলে এসব অপরাধী চক্রের বাসা-বাড়িতে চুরি করার সুযোগ কমে গেছে। ফলে বাসা ফাঁকা না পেয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পথে নেমেছে তারা।
সূত্রমতে, গত কয়েকমাসে ওই এলাকায় ২০টিরও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এর মধ্যে অধিকাংশ ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করছেন না। ফলে অভিযোগের ভিত্তিতে এসব চক্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ কম পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল গীয়াস জানান, একজনকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আমাদের ডেস্ক : : কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ কক্সবাজারের সু পরিচিত মানবিক ব্যক্তি হাজী মন্জুর আলমের নিজের একটি ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজার, প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ দিনে-দুপুরে ‘দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফাটার’ কথা জা...বিস্তারিত
টেকনাফ প্রতিনিধি : : বঙ্গোপসাগরের মিশ্রিত নাফনদের প্রধানমুখ কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুখখালী খাল দখল করে মার্কেট নির্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited