শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১১:৩৩ এএম, ২০২২-০৩-১৫
ইউক্রেইনের কিছু কিছু জায়গায় রাশিয়া এতটাই প্রচণ্ড বোমা হামলা করছে যে, শহরে শহরে এবং নগরে নগরে নিহতদেরকে গণকবর খুঁড়েই সমাহিত করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
রুশ বাহিনীর ঘেরাওয়ের মধ্যে থাকা ইউক্রেইনের বন্দরনগরী মারিওপোলে এই বাস্তবতা অনেকটাই প্রকট। এছাড়াও খারকিভ, চেরনিহিভসহ রাজধানী কিইভের কাছের কিছু শহরেও এখন অনেকটা একই অবস্থা।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল রাশিয়ার অবিরাম গোলাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে গত দুই সপ্তাহে তড়িঘড়ি খোঁড়া হয়েছে কয়েকটি কবর।
মারিওপোলের উপ-মেয়র ওরলভ বিবিসি- কে ফোনে বলেছেন, “আমরা গোলায় নিহতদেরকে ব্যক্তিগত কবরস্থানে দাফন করতে পারছি না। কারণ, সেইসব কবরস্থান নগরীর সীমানার বাইরে। আর সীমানা ঘিরে আছে রুশ সেনারা।”
রোববার মারিওপোলের সিটি কাউন্সিল বলেছে, নগরীটিতে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখা ২,১০০ ছাড়িয়েছে। রাশিয়ার প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের কারণে মরিওপোল থেকে কেউ বেরোতে পারছে না। এমনকী মানুষজনকে সরাতে নিরাপদ জোন খোলার চেষ্টা করার পরও পরিস্থিতি একই আছে।
গণকবরে নিহতের সংখ্যা কত হতে পারে তা জানাতে পারেননি ওরলভ। তবে তিনি বলেছেন, একটি কবরে ৬৭ টি লাশ আছে। তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না; তবে কয়েকজনের নথি আছে বলেও জানান ওরলভ।
তিনি বলেন, গোলা থেকে বাঁচতে নগরীর হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়ির বেজমেন্টে লুকাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ পরিবারের মারা যাওয়া সদস্যদেরকে নিজস্বভাবেই বাড়ির উঠোনে কিংবা বাগানে কবর দিচ্ছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীগুলোর পৌর সেবা ভেঙে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাস্তা পরিষ্কার কিংবা মেরামতির কাজ যারা করে তারাই রাস্তা থেকে মৃতদেহ সংগ্রহ করছে। আর এই কাজ করার সময় এই কর্মীদেরও কেউ কেউ মারা পড়ছে। নগরীতে ১১ দিন ধরে নেই খাবার, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, কিংবা প্রচণ্ড ঠান্ডায় উষ্ণতার কোনও ব্যবস্থা, জানান উপমেয়র ওরলভ।
রাজধানী কিইভের দ্বারপ্রান্তে ৪ মাইল উত্তরপশ্চিমের বুচা শহরে একটি গির্জার কাছে খোঁড়া হয়েছে গণকবর। স্থানীয় এক এমপি এ খবর জানিয়েছেন। সেই গণকবরে আছে ৬০ টিরও বেশি লাশ। বুচা শহর এবং ইরপিন শহরতলীর অর্ধেকই এখন রাশিয়ার কব্জায় বলে জানান ওই এমপি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে গণকবরের তিক্ত ম্মৃতি এখনও অনেক ইউক্রেইনীয়র মনেই দাগ কেটে আছে। তাই সেখানে আবার গণকবরের দিন ফিরে আসাটা তাদের জন্য মর্মান্তিক।
ইউক্রেইনের উত্তরাঞ্চলে খারকিভ, চেরনিহিভ এবং সামি নগরী ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। এইসব জায়গাতেও রাশিয়ার সেনাদের অবিরাম গোলাবর্ষণে বহু বেসামরিক নাগরিক মারা যাচ্ছে। নগরীর প্রধান কবরস্থানেও অনবরতই পড়ছে গোলা। তাই ওইসব নগরীতে নিহতদেরকে ট্রেঞ্চে কিংবা জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে কবর দেওয়া হচ্ছে।
চেরনিহিভ সিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সান্দর লোমাকো বিবিসি-কে বলেছেন, রাশিয়ার বিমান হামলায় নিহতদেরকে অস্থায়ী সমাধিতে কবর দেওয়া হচ্ছে। কারণ, রাশিয়ার সেনারা তিনদিক থেকে নগরী ঘিরে রাখায় সেখানকার প্রধান কবরস্থানে এখন যাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “যুদ্ধের পর আমরা আবার লাশগুলোকে কবর দেব।” চেরনিহিভে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০০ বলে জানান লোমাকো। তিনি বলেন, নগরীটিতে রাশিয়ার একটি বিমান হামলাতেই ৪৫ জন মারা গেছে।
তাছাড়া, রাতের বোমা হামলায় চেরনিহিভে গড়ে ৭ জন করে মারা যাচ্ছে। রাশিয়ার বিমান আবাসিক ভবনগুলোতে তিন/চারটি করে বোমা মেরে যাচ্ছে। বোমা হাসপাতালেও পড়েছে। তারপরও হাসপাতালের কাজ চলছে। নগরীর দ্বারপ্রান্তে বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। নগরীটিতে বহু মানুষকে গণকবর দেওয়া হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পাকিস্তানে ৩৯ জন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন প্রথমবারের মতো তার মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন। শুক্রবার (১৮ নভেম...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ৭৪টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে দেশটিকে ৯০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চী...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুদানের দক্ষিণ-পূর্ব ব্লু নাইল রাজ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের শহর কাভালার কাছে একটি কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইউক্রেনের ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2023 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited