শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক | ০৩:৩২ পিএম, ২০২২-০২-০৩
সবকটা জানালা খুলে দাও না, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, আমায় গেঁথে দাও না মাগো, দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা, পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই, ডাকে পাখি খোল আঁখি, কাল সারারাত ছিল স্বপ্নের রাত,
আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে, কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো, কাঠ পুড়লে কয়লা হয়, এই অন্তরে তুমি ছাড়া নেই কারো, আমার মনের আকাশে আজ জ্বলে শুকতারা, তোমার হয়ে গেছি আমি,
মায়ের মাথার সিঁথির মতো লম্বা সাদা পথ, হৃদয়ের চেয়ে ভালো কোনো ফুলদানি নেই- গানগুলো কালজয়ী।
এসব গান যার হাত ধরে এসেছে, এ প্রজন্মের অনেকেই হয়তো জানে না কী তার নাম। ৩১ পেরিয়ে ৩২ বছর হতে চললো তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।
তাকে নিয়ে করপোরেট আয়োজনে কোনো হইচই নেই, কোনো স্মরণসভা-সেমিনারও নেই। বালাইষাট! এদেশের পথে প্রান্তরে ঠিকই বাজে তার গান। আজও, বাজবে চিরকাল।
তিনি কালজীয় গীতিকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাবু। দীর্ঘদিন ধরেই তার অনেক সহকর্মীরা আফসোস করে আসছিলেন একটা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা সম্মান যেন দেয়া হয় তাকে।
অবশেষে সেই দাবি পূরণ হলো। সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পাচ্ছেন নজরুল ইসলাম বাবু। তার হাতে মরণোত্তর এই পদক তুলে দেয়া হবে।
খবরটি সংগীতাঙ্গনে বেশ আনন্দ বয়ে এনেছে। অনেকেই বাবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার জন্য প্রার্থনা করছেন। সেইসঙ্গে মৃত্যুর ৩২ বছর পর হলেও নজরুল ইসলাম বাবুকে একুশে পদক দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন
গানের মানুষ ও সংগীতপ্রেমীরা। দেরিতে হলেও গুণের কদর হয়, সেই কথাও বলছেন অনেকে। ক্ষণজন্মা এই গুণী মানুষের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৭ জুলাই, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের চরনগর গ্রামে।
তার বাবা বজলুল কাদের ছিলেন স্কুলশিক্ষক। মা রেজিয়া বেগম গৃহিণী। বাবা বজলুল কাদেরের সংগীতের প্রতি অনুরাগ ছোটবেলা থেকেই বড় সন্তান নজরুল ইসলাম বাবুকে প্রভাবিত করে। চার ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বাবু ছিলেন সবার বড়।
স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে মামার কর্মস্থল বরিশালে চলে যান। বরিশাল বি এম স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক এবং পরে জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও বিএসসি ডিগ্রি নেন।
২১ বছরের টগবগে তরুণ নজরুল ইসলাম বাবু ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্রনেতা হিসেবে বেশ নামডাক করেছিলেন। একদিন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তৎকালীন সামরিক জান্তা। একসময় তিনি আত্মগোপন করেন। চলে যান ভারতে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ক্যাম্পে যোগ দেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি আবার লেখাপড়া, সাহিত্য ও সংগীতচর্চা শুরু করেন। সিনেমার প্রযোজনাও শুরু করেছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আসছে সেপ্টেম্বরে তাকে হারানোর ৩২ বছর পূর্তি হবে। মহাকাল তাকে বেশি দূর যেতে দেয়নি ঠিকই, কিন্তু নজরুল ইসলাম বাবু এই বাংলায় তিনি প্রতিদিন ফিরে আসেন তার লিখে যাওয়া সব প্রেম-বিরহ ও দেশের গানে গানে।
বিনোদন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়ে গেল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোরে প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় ব...বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়ে গেল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোরে প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় ব...বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক : চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে ঈদের বিশেষ নাটক ‘চাটগাইয়া গোলমাল’। চট্টগ্রাম শহরের ব...বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক : হলিউড গায়ক জাস্টিন বিবার। জনপ্রিয় এ গায়ক এক জটিল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পা...বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক : বিয়ে করলেন ‘ডনগিরি’ ছবির নায়িকা এমিয়া এমি। রোববার (২২ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি কাজি অফিসে কাছ...বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক : প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সাত নয়, বরং চার পাক নিয়ে বিয়ে করেছেন আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুর। সর্বভারতীয় একটি ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited