শিরোনাম
স্পোর্টস ডেস্ক | ০২:৪৫ পিএম, ২০২২-০১-৩১
নাসুম আহমেদের স্ট্যাম্পের ওপর করা ডেলিভারিটি বাজে বলার সুযোগ ছিল না। কিন্তু সেটিতেই বলের পিচে পৌঁছে মাথা নিচু রেখে ঠিক বোলারের মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিলেন লিটন দাস। যার গন্তব্য হলো সোজা সীমানার ওপারে। প্রায় তিন মাস পরে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে এই শটটিই ছিল লিটনের ফেরার বার্তা। ওপেনিংয়ে নামা লিটনের সপ্রতিভ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি শেষ দিকে ঝড় তুললেন দুই বিদেশি ফাফ ডু প্লেসি ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট।
এ তিনজনের চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ম্যাচ জিততে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে করতে হবে ১৮৪ রান।
ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নেওয়ায় প্রথম দুই ম্যাচ খেলেননি লিটন। আজকের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেই তার ব্যাট থেকে এলো ৩৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৭ রানের ইনিংস। তিন নম্বরে নেমে ডু প্লেসি অপরাজিত রইলেন ৫৫ বলে ৮৩ রানে। আর শেষ ওভারে শরিফুল ইসলামের ওপর সাইক্লোন চালানো ডেলপোর্ট খেলেছেন ২৩ বলে ৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। অধিনায়কত্ব পরিবর্তন নিয়ে চরম নাটকীয়তার পর প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। আগে বোলিং করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম।
তার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কভার দিয়ে আলগা শট করে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন ১ রান করা কুমিল্লার তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংসের গতিপথ ঠিক করে দেন লিটন দাস ও ফাফ ডু প্লেসি। এ দুজন মিলে ৫৫ বলে যোগ করেন ৮০ রান। লিটনের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সোজা ব্যাটে দারুণ কিছু শট খেলেন ডু প্লেসি। তাদের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে'তে ৫২ রান পায় কুমিল্লা।
প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা এই জুটিও ভাঙেন প্রথম উইকেট নেওয়া নাসুম। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া লিটন লং অফ বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন সাব্বিরের হাতে। ফলে সমাপ্তি ঘটে তার ৫ চার ও ১ ছয়ের মারে খেলা ৪৭ রানের ইনিংস। এরপর হতাশ করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। বেনি হাওয়েলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১ রান করেন তিনি। অল্প সময়ের ব্যবধানে লিটন-ইমরুল ফিরলেও কুমিল্লার ইনিংসে আর বিপদ বাড়তে দেননি ডু প্লেসি ও ডেলপোর্ট। এ দুজন মিলে শেষের ৮.৫ ওভারে গড়েন ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
দুই তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয়ের ওপর দিয়েই বেশি যায় ডু প্লেসি-ডেলপোর্টের ঝড়। এ দুজনের করা শেষ তিন ওভার থেকেই আসে ৫২ রান। শরিফুলের করা ১৮তম ওভারে একটি করে চার-ছয়ের মারে খরচ হয় ১৫ রান, পরের ওভারে মৃত্যুঞ্জয়ও হজম করেন একটি করে চার-ছয়। ইনিংসের ১৯ ওভার শেষে ডু প্লেসির রান ছিল ৮৩, সম্ভাবনা ছিল সেঞ্চুরির। তবে শেষ ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন ডেলপোর্ট, এক বলও খেলার সুযোগ পাননি ডু প্লেসি।
শরিফুলের সেই ওভারে চারটি চার ও এক ছয়ের মারে একাই ২৩ রান করেন ডেলপোর্ট। যার সুবাদে মাত্র ২২ বলে পূরণ হয় ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ডেলপোর্ট আর ডু প্লেসি খেলেন ৫৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস। চট্টগ্রামের পক্ষে আরও একবার হাইস্কোরিং ইনিংসে কিপটে বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন নাসুম।
স্পোর্টস ডেস্ক : দুবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন তারা। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা বরাবরই বিশ্বের...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনাল জিতে নারী হকি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা। জার্মানির বিপক্...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে সত্যি হলো গুঞ্জন। আনুষ্ঠানিকভাবে রবার্ট লেওয়ানডস্কিকে দলে নেওয়ার ঘোষণা দিলো স্প্যানিশ জ...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩৬০ রান। জবাবে ৩৫৯ রান করে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের জয় মাত্র ১ ...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : এক সময় জিম্বাবুয়েকে ধরা হতো ক্রিকেটকের অন্যতম পরামশক্তি। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ...বিস্তারিত
স্পোর্টস ডেস্ক : গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। কিন্তু পাঁচ ম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2023 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited