শিরোনাম
ঢাকা অফিস :: | ০৪:৪৭ পিএম, ২০২২-০১-২৪
অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।’ প্রধানমন্ত্রী সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্য ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে চিরতরে মুক্ত করতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। এতে আরো তীব্রতর হয় স্বাধিকার আন্দোলন। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে বন্দি করে।
তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ঢাকা সেনানিবাসে বিচার শুরু করে। এ মামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনতা দুর্বার ও স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন গড়ে তোলে। কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে ওঠে সারাবাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের পুরো জানুয়ারি ছিল আন্দোলনে উত্তাল। প্রতিদিন আন্দোলনের ঘটনা ঘটে। ধারাবাহিকভাবে দেশব্যাপী আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেক আহত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করা এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের সংকল্প নিয়ে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান মল্লিক এবং মকবুল, আনোয়ার, রুস্তম, মিলন, আলমগীরসহ আরও কয়েকজন শহীদ হন। জনতার কঠিন রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারি আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ফলে আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদরা গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। আমরা গত ১৩ বছরে দেশের আর্থসামাজিক সবখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানুষ উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে। জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস উপহার দিয়েছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করেছি। অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকর করছি। নতুন প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন বিস্ময়। আমরা ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। স্বাধীনতার সুফল সবার জন্য নিশ্চিত করবো। তিনি বলেন, আসুন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপ্রিয় আধুনিক বাংলাদেশ। আমি শহীদ মতিউরসহ দেশের মুক্তিসংগ্রামের সব শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
আমাদের ডেস্ক : : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : টেকসই ভবিষ্যত বিনির্মাণ ও নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে গ্লোবাল সাউথ এর কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও ছাত...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে। আজ শনিবার স্বাস্থ্য মন্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : ২৮ অক্টোবর লগ্গি বৈঠা, পিলখানা গণহত্যা, শাপলা চত্বর গণহত্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণহত্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : আগামীকাল বিকেলে বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited