শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২:৩০ এএম, ২০২১-০৪-২০
এম.আজিজ রাসেল
১৩৮৩ রাখাইন অব্দকে বিদায় জানিয়ে ১৩৮৪ নতুন অব্দকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বরণ করে নিয়েছে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন।
করোনার সংক্রমণের ভয় থাকলেও বর্ষবরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মহাসমারোহে সাংগ্রাই
বা জলকেলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
গত বছর করোনার জন্য এই উৎসব হয়নি। তবে এবার পারিবারিকভাবে এই উৎসব পালন করেছে কক্সবাজার জেলায় বসবাসরত রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) ছিল উৎসবের সমাপনী দিন।
এদিন একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে পুরনো বছরের সকল দুঃখ, অবসাদ দূর করে নতুন বছরে শুদ্ধ মননে জীবন শুরুর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাখাইন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ উভয়ে।
কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া, হাঙর পাড়া, বার্মিজ স্কুল এলাকা, পূর্ব—পশ্চিম মাছ বাজার, ক্যাং পাড়া ও বৈদ্যঘোনাস্থ থংরো পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সবার মাঝে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করা মানুষের জন্য বিষাদের ছায়া। তবুও অন্ধকারের ঘনঘটা ভেদ করে নববর্ষ বরণে কৃপণতা করেনি কেউ।
ছোট শিশু থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধা বণিতাও শামিল হয় আলোক মিছিলে। আলোক সেই মিছিল যেন ছুঁয়ে গেছে সমুদ্রের বিশাল জলরাশিকেও।
প্যান্ডেলগুলোতে খানিক পর পর রাখাইন তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে জল ছিটিয়ে পুরোনো বছরের হতাশা দূর করে নব আলোকে পথ চলার স্বপ্ন বুনেন।
রাখাইন তরুণ-তরুণীরা জানান, আধিকাল থেকে রাখাইন নববর্ষ উপলক্ষে সামাজিকভাবে তারা সাংগ্রাই উৎসব পালন করে আসছেন। তবে এবার করোনার কারণে উৎসব হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং ও সাবেক সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন জানান, জলকেলি উৎসব রাখাইন সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির অংশ। করোনা মহামারীর কারণে এবার সীমিত আকারে জলকেলিতে মেতেছে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা। তবে এবার সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন চলমান থাকায় উৎসবে আগের মতো উচ্ছ্বাস ছিল না। ঘরে ঘরে সীমিত পরিসরে সবাই নতুন বছরকে বরণ করতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহেশখালী, টেকনাফ সদর, হ্নীলা চৌধুরী পাড়া, রামু, মহেশখালী, খুরুশকুল, পানিরছড়া, চকরিয়ার মানিকপুরসহ রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় সপ্তাহজুড়ে রাখাইন নববর্ষ পালন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন।
গত ১৪ এপ্রিল চন্দন জলে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারী থেকে মুক্তিলাভে বিশেষ প্রার্থনা করে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর ১৫ ও ১৬ এপ্রিল পাড়া-মহল্লায় চলে শিশুদের জলকেলি।
গত শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবদি সীমিত আয়োজনে মৈত্রিময় জলকেলিতে মেতে উঠে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা।
সোমবার করোনা থেকে মুক্তিলাভের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বর্ণিল এই উৎসব।
আমাদের ডেস্ক : : কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ কক্সবাজারের সু পরিচিত মানবিক ব্যক্তি হাজী মন্জুর আলমের নিজের একটি ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজার, প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ দিনে-দুপুরে ‘দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফাটার’ কথা জা...বিস্তারিত
টেকনাফ প্রতিনিধি : : বঙ্গোপসাগরের মিশ্রিত নাফনদের প্রধানমুখ কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুখখালী খাল দখল করে মার্কেট নির্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited